রমজান মাসে সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের খামারি এরশাদ উদ্দীন।
তার খামার থেকে সংগৃহীত দুধের অর্ধেকটা তিনি মাত্র ১০ টাকা লিটার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। পুরো রমজান মাস এ কাজ চালিয়ে যাবেন।
বাজার ভেদে এখন প্রতি লিটার দুধ ৯০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তাই মানুষের সেবার তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
এরশাদ উদ্দীনের বাড়ি উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নে। বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তিনি। এ ছাড়া নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের রৌহা এলাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন জেসি এগ্রো ফার্ম।
তিনি জানান, খামারে দুগ্ধ ও মোটাতাজাকরণের ৩০০টির মতো গরু রয়েছে। বর্তমানে ২৫টি গাভী দুধ দিচ্ছে সেখানে। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৬৫ লিটার দুধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রতিদিন ৩৫ লিটার দুধ তিনি ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
রৌহা এলাকার কৃষক সফর উদ্দিন বলেন, ‘এরশাদ উদ্দিন অনেক ভালো মানুষ। গত বছরও তিনি ১০ টাকা লিটার দুধ দিয়েছেন, এবারও দিচ্ছেন।’
মনসন্তোষ এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক সাদির মিয়া বলেন, ‘এরশাদ সাহেব অনেক কষ্ট করে বড় হইছেন, তাই গরিবের কষ্ট বোঝেন। প্রতি বছরই রোজার মাস ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মানুষকে সহযোগিতা করেন তিনি। এলাকায় স্কুল-কলেজেও সহযোগিতা করেন তিনি।’
এরশাদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রমজান মাসে অনেক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। অনেক কিছুই গরিব ও অসহায় মানুষের নাগালের বাইরে। চিন্তা করলাম, ব্যবসা তো সারা বছরই করি, এক মাস না হয় লাভ না করলাম। তাই আমার অবস্থান থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সারা বছর জেলার বিভিন্ন হোটেলে ৫০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করি। কিন্তু পুরো রমজানে প্রতি লিটার ১০ টাকা দরে প্রায় এক হাজার লিটার দুধ বিক্রি করব এলাকাবাসীর কাছে।
‘শনিবার বিকেল থেকে শুরু করেছি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চালু থাকবে। এলাকার সবাই যেন পায় সে জন্য প্রাথমিকভাবে একটি পরিবারকে একবারই দিচ্ছি। এলাকার কোনো পরিবার যেন বাদ না পড়ে সে জন্য এই পদ্ধতি চালু করেছি।’