নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাসায়নিক কারখানায় আগুনে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় মালিকসহ ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানায় রোববার সকালে মামলা করেছেন নিহত এক শ্রমিকের ভাই।
তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
রোববার দুপুরে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত শ্রমিক আকালুর ভাই আজিজার রহমান সকালে মামলাটি করেন।
এর আগে ২৯ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে রূপগঞ্জের দক্ষিণ গোলাকান্দাইল এলাকায় লিলি কেমিক্যাল কারখানায় আগুন লেগে নয় শ্রমিক দগ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, কারখানার মালিক একেএম সেলিম, ম্যানেজার আব্দুল বাতেন, ইলেকট্রিশিয়ান রফিকুল ইসলাম, কাস্টম সাবরুল ইসলাম ও সুপার ভাইজার কাউসার হাবিব।
এজাহারে বলা হয়, আজিজার রহমানের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ফুল চৌকি খামারপাড়া গ্রামে। তার ভাই আকালু লিলি রাসায়নিক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
গত ২৯ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে কারখানার পেস্টিং সলিউশন (জুতা তৈরির আঠা) মেশিনের সুইচে চাপ দেন এক শ্রমিক। সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয় ও মেশিনে আগুন ধরে। সেখানে দাহ্য জাতীয় ক্যামিকেল মজুদ থাকায় আগুন খুব দ্রুত কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় তার ভাই আকালু, সজিব, বায়েজীদ, রাসেল, মুজাহিদ, খাদেমুল, রোকন, মেহেদী ও রিপন কর্মরত থাকা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন। অগ্নিদগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ভাই আকালু সহ চারজন মারা যান। অন্যান্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এজাহারে আরও বলা হয়, কারখানার মালিক একেএম সেলিমসহ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আগুনের ঘটনা ঘটে।
রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মামলা পর থেকে আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’