সাতক্ষীরার বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে স্থানীয় একটি পত্রিকার অফিস।
রোববার দুপুরে রবি ও জাহিদ গ্রুপের শ্রমিকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রমিকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা পরিস্থিতিতে ছয় রুটে অন্তত ৩ ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির।
শ্রমিকদের বরাতে তিনি জানান, গত শনিবার শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম ভোটার তালিকাসহ আগের কমিটির বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ভোটের ওপর তিন মাসের স্থাগিতাদেশ দেয়। এ নিয়ে বাস টার্মিনালে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শ্রমিকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়।রোববার দুপুর ১২টার দিকে বাস টার্মিনালের ভেতর রবি গ্রুপের শ্রমিক মো. রতন ও মাসুম হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে জাহিদ গ্রুপের আক্তার হোসেন, মো. টিপু, শাহাজাহান হোসেন ও মিলন হোসেন।
পরে রবি গ্রুপের শ্রমিকরা পাল্টা হামলা চালায় জাহিদ গ্রুপের লোকজনের ওপর। এতে মো. টিপু ও আক্তার হোসেন আহত হন। এর জের ধরে জাহিদ গ্রুপের লোকজন ইট-পাটকেল ছোড়ে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক কালের চিত্র অফিসে। এতে পত্রিকার সাইনবোর্ড ও অফিস কক্ষের বাইরের থাইগ্লাস ভাঙচুর হয়।
এ বিষয়ে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জানান, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে গণ্ডগোলের খবর শুনে টার্মিনালে আসি। এসে শুনি, রবির লোকজনের হাতে শ্রমিক টিপু ও আক্তার আহত হয়েছেন।’
শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের স্থগিতাদেশ হওয়া আমাদের জন্য কাল হয়েছে। আমাদের যেখানে-সেখানে মারছে অথচ প্রশাসন কেউ কিছু করছে না।’
ওসি জানান, টার্মিনালের পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।