ঢাকার সাভারে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আশুলিয়ার কুরগাঁও চারিগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিতে ১১ বছর বয়সী মো. সাকিব বাড়ি ফিরলে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে।
পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার দিনভর তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো বিচার পাননি।
মাদ্রাসার ওই শিক্ষক হাফেজ মো. আজাদকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ শিশুটির বাবা। আজাদের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পূর্বসটি গ্রামে।
সাকিবের বাবা মো. ইব্রাহিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সপ্তাহে ছয় দিন আমার পোলাডা মাদ্রাসায় থাকে। গত বুধবার রাইতে মাদ্রাসার আরেক পোলার চানাচুর খাওয়া নিয়া সাকিবরে হাত-পা বাইন্ধা ওর ছার আজাদ অনেক মারছে। লাঠি দিয়া মাইরা কিছু রাখে নাই আমার পোলাডার।
‘মাদ্রাসা খোলা থাকায় বাসায় আইতেও পারে নাই। আমরাও কিছু জানতে পারিনি। পরে শুক্রবার সকালে মাদ্রাসা থাইকা সাকিব বাসায় আইছে। ওর আম্মায় গোসল করাইতে গিয়া দ্যাখে মাইরের দাগ। পরে আমি ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিকালে বিচারের জন্য মেম্বারের কাছে গেছি। সে আমাদের মাদ্রাসায় পাঠাইছে। কইছে দ্যাখেন গিয়া, হ্যারা কী বিচার করে। মাদ্রাসার লোকজন ওই ছাররে লুকায় রাখছে। সারা দিন আরও লোকের কাছে গেছি কিন্তু কোনো বিচার পাই নাই। এহন শনিবার সকালে পুলিশের কাছে যামু।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই শিক্ষককে ফোন দেয়া হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার সভাপতি আতাউর রহমান ও পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শফিউল আলম সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও কেউ ধরেননি।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। তবে এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’