রাজশাহীতে গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী। হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বেডে জায়গা না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝে, এমনকি ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দাতেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
তীব্র গরমে রোগীদের সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন স্বজনরাও।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে ১ হাজার ৭৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু থেকে ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
তবে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
মেডিসিন ওয়ার্ডের করিডোরে বসে ছিলেন সাইফুল ইসলাম। তিনি তার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
সাইফুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের ডায়রিয়া কোনোভাবেই কমছে না। এখানে এসে ওয়ার্ডে তো জায়গা পাইনি উল্টা বারান্দার মেঝেতে রেখে চিকিৎসা চলছে। গরমের মধ্যে চরম কষ্টে আছি আমরা।’
পাশের করিডোরে বসে থাকা আব্দুল করিম বলেন, ‘এখানে করিডোরে রোগী রেখে চিকিৎসা চলছে। এটা খুবই অমানবিক। এমনিতেই ডায়রিয়া রোগী। তার ওপরে ভ্যাপসা গরমে ফ্যান ছাড়া পড়ে আছে। ওয়ার্ডের মেঝেতেও জায়গা হয়নি।’
রাজশাহী মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান বাদশা বলেন, ‘শীত থেকে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গরম এসেছে। এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও তত বাড়ছে। তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ বাইরের বিভিন্ন ধরনের পানীয় কিংবা শরবত খাচ্ছেন। এর ফলে তারা পানিবাহিত ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’
হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘প্রতি বছরই এই সময়টায় এরকম হয়। গরমের কারণে ডায়রিয়া বেড়েছিল তবে এখন কিছুটা কমছে। বৃষ্টি হলে পরিবেশ ঠান্ডা হবে। তখন ডায়রিয়া আরও কমে যাবে। আর আমাদের এখানে তো এমনি সময়ও জায়গার সংকট আছে।
‘আমাদের উচিত ছিল একটি ডায়রিয়া কর্নার করা। এতে ম্যানেজমেন্ট সুবিধা হয়। তবে জায়গার অভাবে সেটা সম্ভব হয়নি। অন্য রোগীদের সঙ্গে এক জায়গাতেই ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে। রোগী আসছে, সুস্থ হয়ে চলে যাচ্ছেন।’