খুলনার ফুলতলায় সৈয়দ আলিফ রোহান হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। স্কুলের মেয়েদের ছবি তোলা ও উত্ত্যক্ত করায় বাধা দেয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে খুন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ফুলতলা এম এম কলেজ প্রাঙ্গণে ২০ বছর বয়সী আলিফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি ওই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং পায়গ্রাম কসবা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে নিহতের বাবা সৈয়দ আবু তাহের বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় মামলা করেছেন। পরে এই মামলার আসামি দীপ্ত সাহাকে শুক্রবার বিকেলেই ফুলতলার দামোদর এলাকার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীপ্ত ফুলতলা বাজারের গুড় ও চিনি ব্যবসায়ী দীপক সাহার ছেলে।
গ্রেপ্তার হওয়া দীপ্তর প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে পায়গ্রাম কসবা এলাকার একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে ‘শান্ত-হাসনাত-তাছিন’ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মেয়েদের ছবি তোলার পাশাপাশি উত্ত্যক্ত করছিল। এতে বাধা দেন আলিফ।
এ ঘটনায় ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আলিফের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরে গত বৃহস্পতিবার আলিফের কলেজে আসার খবর পায় তারা এবং তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে কলেজে এসে আলিফকে ছুরিকাঘাত করে তাজপুর গ্রামের দিকে চলে যায়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও ফুলতলা থানার তদন্ত পরিদর্শক এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল দীপ্ত সাহা। তাকে গ্রেপ্তার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার অগ্রগতি হয়েছে।’
ফুলতলা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘ফুলতলার শান্ত-হাসনাত-তাছিন গ্রুপের সদস্যরা একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় কলেজছাত্র খুনের ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রুপের বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’