বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মদের আইন পাস হলে আঙুল চুষব না: ইসলামী আন্দোলন

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:১৯

মুফতি ফয়জুল বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার মদের আইন পাস করবে। ২১ বছর বয়স হলে মদ পান করার অনুমতি পাবে। ১০০ জন ক্রেতা থাকলে সেখানে মদের দোকান খোলার অনুমতি পাবে। বাংলাদেশের মুসলমানরা বেঁচে থাকতে আপনি মদের দোকান খুলবেন আর আমরা কি বসে বসে আঙুল চুষব?’

দেশে মদ কেনা সংক্রান্ত নতুন আইন পাস হলে আঙুল চুষবেন না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম। একই সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির ভক্তরা মদ বৈধ করতে চায় বলেও দাবি করেছেন তিনি।

মুফতি ফয়জুল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার মদের আইন পাস করবে। ২১ বছর বয়স হলে মদ পান করার অনুমতি পাবে। ১০০ জন ক্রেতা থাকলে সেখানে মদের দোকান খোলার অনুমতি পাবে। বাংলাদেশের মুসলমানরা বেঁচে থাকতে আপনি মদের দোকান খুলবেন আর আমরা কি বসে বসে আঙুল চুষব?’

শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তান পার্কে ধর্মভিত্তিক দলটির মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। তবে সমাবেশে দলটির অন্যতম দাবি ছিল দেশে মদ বৈধ করা যাবে না। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

সমাবেশে ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশে মদকে বৈধ করতে চায় পরীমনির ভক্তরা। পরীমনির ভক্তরাই মদের আইন পাস করতে চায়। শেখ সাহেবের ভক্তরা মদের পাস করতে চায় না। শেখ হাসিনার ভক্তরা মদের আইন পাস করতে পারে না।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ধর্মভিত্তিক দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘আপনাদের নেতা মদকে নিষিদ্ধ করেছেন। আপনারা রাস্তায় নেমে পড়ুন, বলুন যে মদকে বৈধ করা চলবে না।’

মুফতি ফয়জুল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব ৭২-এর সংবিধানে মদকে নিষিদ্ধ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, যার পিতা বাংলাদেশে মদকে নিষিদ্ধ করেছেন তার কন্যা দেশে মদ বৈধ ঘোষণা করতে পারেন না।’

দলের আরেক নায়েবে আমীর আব্দুল হক আজাদ বলেন, ‘মদকে আমরা বৈধ হতে দেব না। প্রয়োজনে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া আগুন জ্বলবে।’

দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি মদিনা সনদে দেশ চালাবেন। তাহলে মদের আইন ও মদিনা সনদ কী একসঙ্গে চলবে?’

মদ নিয়ে সরকারের বিধিমালার সমালোচনা করে চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘এ বিধিমালা পড়লে যে কারও মনে হবে, সরকার মদ ও এ্যালকোহল আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণের দুয়ার উন্মুক্ত করতে চাইছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী মদের ও মাদক পাচারের পথ সহজ করতে এই ধারা। সরকার মদকে সাধারণ পানীয় বানিয়ে ফেলতে চায়। তরুন প্রজন্মকে ধ্বংস করতে চায়।’

সম্প্রতি অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ প্রণয়ন করেছে সরকার।

সেখানে বলা হয়েছে, ২১ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তিকে মদ পানের অনুমতি দেয়া যাবে না। এর বেশি বয়সী যে কেউ অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে মুসলিমদের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদমর্যাদার কোনো ডাক্তারের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।

এ বিভাগের আরো খবর