খুলনায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে চালককে জখম করার ঘটনায় দুই কিশোর মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল এলাকা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
খুলনা জিআরপির পুলিশ সুপার রবিউল হাসান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আটক কিশোরদের একজনের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া গ্রামে এবং অন্যজন গোপালগঞ্জ জেলার কাজলিয়া গ্রামের।
তারা দুজনই খুলনা নগরীর একটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তবে আটক এক শিক্ষার্থীর দাবি, ট্রেনকে উদ্দেশ করে পাথর মারা হয়নি। রাস্তায় মারামারি করা দুই কুকুরকে পাথর মারলে তা ট্রেনের চালকের গায়ে গিয়ে লাগে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘সকাল পৌনে ৭টার দিকে বেতনা এক্সপ্রেস (বেনাপোল কমিউটার) ট্রেনটি খুলনা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সোয়া ৭টার দিকে খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল মাদ্রাসার সামনে এলে কে বা কারা ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
‘পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক গাজী মারুফের ঠোঁট ও মুখ ফেটে রক্তাক্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। পরে খবর পেয়ে ওই দুই ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।’
তাদের বিরুদ্ধে দেশের রেল আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ট্রেন একটি নিরাপদ ভ্রমণব্যবস্থা। মূলত যাত্রীদের কাছে ভীতিকর পরিবেশ তৈরির জন্য পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটানো হয়। গত কয়েক মাস এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে এক মাস ধরে এ ঘটনা বেশি ঘটছে।’
তবে আটক দুই ছাত্রের একজন উপস্থিত সাংবাদিকদের জানায়, রাস্তার ওপর কয়েকটি কুকুর মারামারি করছিল। তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছিল সে। সেখান থেকে একটি পাথর ট্রেনের চালকের গায়ে লাগে।
এতে ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে মাদ্রাসায় চলে যায় সে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে বলে জানায় সে।