পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ব্যাংক করোনার দ্বিতীয় বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করলেও তারা লভ্যাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার অর্ধেক নগদে আর অর্ধেক বোনাসে।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ২০০ শেয়ারে ২৫টি বোনাস শেয়ার আর প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা ২৫ পয়সা করে নগদ পাবেন।
আগের বছর বিনিয়োগকারীরা নগদ ও বোনাস মিলিয়ে পেয়েছিলেন ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ। এর মধ্যে শেয়ার প্রতি নগদ দেয়া হয় এক টাকা ৭৫ পয়সা আর বোনাস শেয়ার দেয়া হয় প্রতি ২০০ শেয়ারে ৩৫টি।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবার লভ্যাংশ ১০ শতাংশ কমালেও ব্যাংকটি আয় বাড়াতে পেরেছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর আয় দাঁড়িয়েছিল ৪ টাকা ৩৮ পয়সা।
আয়ের পাশাপাশি ব্যাংকটির সম্পদও বেড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছর বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর ছিল ৩০ টাকা ৮৭ পয়সা।
এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ও যমুনা ব্যাংক ছাড়া সবগুলো আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে। হাতে গোণা দুই একটি ছাড়া সবগুলো লভ্যাংশও বাড়িয়েছে। এমনকি আয় কমলেও যমুনা ব্যাংক লভ্যাংশ একই রেখেছে।
যারা ইবিএলের লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের আগামী ২৫ এপ্রিল শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিনই হবে ব্যাংকটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ৯ মে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ব্যাংকের তুলনায় ইবিএলের শেয়ারদর অনেকটাই বেশি। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ৩০ পয়সা কমলেও এদিন শেয়ার দর ছিল ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এর চেয়ে বেশি শেয়ারদর আছে কেবল ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলার।
গত এক বছরে ব্যাংকটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে রোববার ব্যাংকটির শেয়ারদরে কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।