জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা আরিফ ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ১৩ এপ্রিল ঠিক করেছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ ঠিক ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে হাজির করতে পারেনি।
পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
এ পর্যন্ত মামলাটির অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। বর্তমানে সবাই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত বছরের ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।