দেশের প্রথম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চার দশকে (৪০ বছর) পদার্পণ করেছে।
বুধবার মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ব্যাংকটি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
দেশের সর্বোচ্চ আমানত ও বিনিয়োগ নিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ৪০ বছরে পদার্পণ করেছে। দেশের এক-তৃতীয়াংশ বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণকারী এ ব্যাংক বিগত ৩৯ বছরে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং এসএমই খাতে বিনিয়োগে সর্বোচ্চ অর্থায়ন করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাংকিং সেবাসহ ছয় হাজারের বেশি ইউনিট নিয়ে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক।
১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী।
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, আলতাফ হুসাইন ও নাইয়ার আজম।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাকসুদুর রহমান।
ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান, উপশাখা ইনচার্জ, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন।
ব্যাংকের এমডি মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম শক্তি। ১ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহকের এ ব্যাংক প্রায় ৮৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। দেশের তৈরি পোশাক খাতের ৩৬ শতাংশ ও টেক্সটাইল খাতের ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে গড়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ছয় হাজারের বেশি শিল্পকারখানা, দুই হাজারের বেশি কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ২৬টি পাটকল, ৪২১টি নৌপরিবহন, ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন, অর্ধশতাধিক কোল্ড স্টোরেজ, প্রায় এক হাজার অটো রাইস মিল ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
‘বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ। জাতীয় অর্থনীতির প্রধান দুই স্তম্ভ প্রবাসী রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাকশিল্প উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক পথিকৃৎ। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের সর্বোচ্চ।’
‘ইসলামী ব্যাংক শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ১১ দশমিক ৪ ও ৮ শতাংশ।’
বিশ্বে ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্সের পথিকৃৎ ইসলামী ব্যাংকের পল্লি উন্নয়ন প্রকল্প দেশের ১৩ লাখ প্রান্তিক পরিবারকে সাবলম্বী করেছে। এ প্রকল্প দেশের ২৬ হাজার গ্রামে বিস্তৃত, যার মাধ্যমে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।