বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, ককটেল

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ২১:১৯

ঢাকা কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের কারণে নিউমার্কেটের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

ঢাকা কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দুই কলেজের অন্তত ২০ জন ছাত্র আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে রাত ৮টার পর থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান।

সংঘর্ষের কারণে নিউমার্কেটের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের গেট ভাঙার চেষ্টা করে। অন্যদিকে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন উঁচু ভবন থেকে গেটের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পাথর ও ককটেল নিক্ষেপ করে।

এক পর্যায়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভেতর থেকে পাথর নিক্ষেপ করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তার উপর অবস্থান করা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

রাত পৌনে ১১টার দিকে দুই পাশের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন জানান, কলেজ স্ট্রিটে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে টিটি কলেজের ছাত্ররা মারধর করেন। খবর পেয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা আসলে সংঘর্ষ বাধে।

ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মো. ফারুকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’

তিনি জানান, দুই কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এই দেয়াল ভেঙে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ভিতরে ঢুকেছিলো। ছবি: নিউজবাংলা

পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ঢাকা কলেজ এবং টিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে বসা এবং চা খাওয়া নিয়ে তাদের বাদানুবাদ হয়। সে সময় টিটি কলেজের সেই শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলে। এরপর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আরও কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে এসে টিটি কলেজের বাউন্ডারি ভেঙে ক্যাম্পাসে ঢুকে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এরপর একপর্যায়ে কলেজের গেট এবং ওয়ালের কিছু অংশ ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে কলেজের কিছু আসবাবপত্র বিল্ডিংয়ের কিছু কাচ তারা ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

‘এখনকার পরিস্থিতি একেবারে শান্ত। ঢাকা কলেজের ছেলেরা তাদের কলেজ ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হলে ফিরে গেছে। আর ঢাকা কলেজের যারা আহত তারা ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে গেছে। একটা অংশ এই চিকিৎসায় সহায়তা করতে গেছে। এখন বাইরে কোনো শিক্ষার্থী নেই। দুই কলেজের প্রিন্সিপাল এবং প্রশাসনিক অথোরিটি এখানে এসেছেন। দুই পক্ষই কথা বলেছেন। তারা এই ঘটনার সূত্রপাত এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে কমিটি করছে। ভবিষ্যতে কোনো পরিস্থিতি যেন এই এলাকায় তৈরি না হয় বা শান্তিপূর্ণ এই অবস্থা বিরাজমান রাখার জন্য আমাদের এক টিম পুলিশ এখানে মোতায়ন থাকবে।’

হতাহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুই একটা ইট পাটকেল একটু লাগলেও পুলিশের তেমন কেউ আহত হননি। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেছে তাদের ৭-৮ জন শিক্ষার্থী আহত আছে। তবে প্রকৃত সংখ্যাটা আমরা জানি না।’

সংঘর্ষের পর পর এ ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য কীভাবে এল, এমন প্রশ্নের উত্তরে রমনা জোনের ডিসি বলেন, ‘এগুলো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি দেখবে। পুলিশ আলামত নিয়েছে। তারা পরীক্ষা করে দেখবে এগুলো আসলে বোমা বা বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল কি না। তখনই আমরা জানতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর