রাজধানীর শাহজাহানপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতির পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শান্ত্বনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিবাগে নিহত প্রীতিদের বাসায় যান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রীতির মৃত্যু এতো দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক যে, মেনে নেয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এবং আমরা তাদের পাশে আছি সেটা জানানোর জন্যই আমাদেরকে পাঠিয়েছেন।’
এ সময় প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন, মা হোসনে আরা ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোট ভাই সোহায়েব সামির সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। অশ্রুসিক্ত সামিকে বুকে জড়িয়েও ধরেন তথ্যমন্ত্রী।
গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করে। সে সময় টিপুর গাড়ির পাশে রিকশায় ছিলেন প্রীতি ও তার বান্ধবী সন্ত্রাসীদের গুলিতে সে সময় প্রীতি নিহত হয়।
প্রীতিদের বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের দল, আমাদের সরকার তাদের পাশে থাকবে।
‘ইতোমধ্যেই মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। একই ঘটনায় আমাদের দলের একজন নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ছাত্রী সামিয়ার পরিবার মামলা না করলেও জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী মামলা করেছেন। সে মামলার এজাহারে প্রীতির হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ আছে। আইনানুযায়ী একই ঘটনায় দুটি মামলার প্রয়োজন নেই। মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে, যারা তার সাথে ছিল তারাও পুলিশের জালের মধ্যে আছে। আমরা আশা করি তারাও খুব সহসা গ্রেপ্তার হবে। যথোপযুক্ত বিচার করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
তিনি বলেন, ‘সামিয়ার মা-বাবার আরেকটি সন্তান প্রীতির ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষা দেবে, তার সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা এখান থেকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিস্তারিত জানাব।’
সরকারের কাছে সামিয়ার পরিবার কোনো সাহায্যের আবেদন করেছে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সরকারের কাছে এখনো আবেদন করেনি, আমরা এ বিষয়টি দেখার জন্য আমাদের কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দিয়েছি এবং সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব করা হবে।’