আগের তিন বছরের ধারাবাহিকতায় যমুনা ব্যাংক গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্যও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির আয় আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমলেও তারা লভ্যাংশ না কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগের বছরের মতোই ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা অর্থাৎ সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ব্যাংকটির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যমুনার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছরে এই আয় ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যাংকটি গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে লোকসান দিয়েছে। কারণ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন প্রান্তিক শেষে যমুনার শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩ টাকা ৮৭ পয়সা।
২০১৫ সাল থেকেই ব্যাংকটি নগদ লভ্যাংশে জোর দিয়ে আসছে। মাঝে ২০১৭ সালে একবার ২২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। বাকি ৬ বছরই নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, এর মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের লোকসান বেড়েছে। আর যমুনার আয় কিছুটা কমেছে। বাকি সব ব্যাংক আয় বাড়াতে পেরেছে। তবে সব ব্যাংক লভ্যাংশ বাড়িয়েছে এমন নয়।
যমুনার আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্য কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ব্যাংকটির সম্পদ ছিল ২৮ টাকা ৪১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩২ টাকা ৬ পয়সা।
যারা যমুনার লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২১ এপ্রিল শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিনই হবে ব্যাংকটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৪ জুন।
পুঁজিবাজারে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদর গত এক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। এই এক বছরে শেয়ার দর ১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ার দর ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। এদিন বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারদর কমলেও যমুনা দর ধরে রাখতে পারে।