জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের তামিল বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য ১০ মে দিন ধার্য করেছে আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে বুধবার এই ক্রোকের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখ ছিল। তবে এদিন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। এ জন্য ১০ মে নতুন তারিখ ঠিক করেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রুহুল আমিন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ২০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তবে পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ক্রোকের আদেশ হয়।
ক্রোকের আদেশ হওয়া অপর চার আসামি হলেন- আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের।
মামলার অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান ও শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন।
ব্লগার নাজিমুদ্দিন ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে ক্লাস শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই নুরুল ইসলাম মামলা করেন।
২০২০ সালের ২০ আগস্ট জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।