বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুলবুল হত্যা ছিনতাইয়ে বাধা দেয়াতেই: ডিবি

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৭:১৯

হাফিজ আক্তার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। বুলবুল হত্যার ঘটনাটি আননোন মার্ডার কেস হিসেবে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটা হত্যার পাশাপাশি ডাকাতি মামলা হিসেবে টার্ন করবে।’

ছিনতাইয়ে বাধা দেয়াতেই ছুরিকাঘাত করা হয় দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুলকে। রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করা চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে এ কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সংস্থাটির দাবি, শেওড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ডে যাবার পথে বুলবুলের রিকশার গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। তার ব্যবহার করা স্যামসাং মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শুধু মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

বুধবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

ডিবি পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে মিরপুর মডেল ও পল্লবী থানা এলাকা এবং সাভার থানার কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুলবুলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চার ব্যক্তি হলেন রায়হান ওরফে সোহেল আপন, রাসেল হোসেন হাওলাদার, আরিয়ান খান হৃদয় ও সোলায়মান।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বুলবুলের ব্যবহার করা মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছোরা উদ্ধার করা হয়।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নিহত বুলবুল আহমেদ পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক এবং প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। তিনি গত ১৫-২০ দিন আগে নোয়াখালী এলাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পান।’

ডিবি জানায়, তিনি গত ২৭ মার্চ সকাল সোয়া ৫টার দিকে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া সরণীর নাভানা ফার্নিচার শোরুম ও আমসিকো ফার্নিচার শোরুমের সামনে পৌঁছলে পাঁচজন ছিনতাইকারী রিকশার গতিরোধ করে, তার কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন বুলবুল। এ সময় ধারালো ছোরা দিয়ে তার ডান পায়ের উরুতে আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও চিৎকার করলে শুধু মোবাইল ছিনিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

পরে বিহঙ্গ পরিবহন নামের বাসের চালক ও সহকারী তাতে প্রথমে আল-হেলাল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রেপ্তার চারজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘সে দিন ভোর ৪টায় গ্রেপ্তার ৪ জনসহ মোট ৫ জন মিরপুর পশ্চিম কাজীপাড়া এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। আসামিরা প্রত্যেকেই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুজন আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও একই কাজে জড়ায়।’

চিকিৎসক বুলবুলের সঙ্গে নোয়াখালী যাওয়ার কথা ছিল রং মিস্ত্রি সোহরাবের। সোহরাবকে ঘটনার দিন ভোরে বুলবুল ফোন করে ফার্মগেট যেতে বলেন। সেখান থেকে দুজন এক সঙ্গে নোয়াখালী যেতে চেয়েছিলেন।

পরিবারের দাবি, বুলবুল পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে বের হলে মেট্রোরেলের ৩০৫ নম্বর পিলার, সেখান থেকে ফার্মগেটের দিকে যাওয়ার কথা। বুলবুল আহত অবস্থায় উল্টো দিকে পশ্চিম কাজীপাড়ার ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে পড়ে ছিলেন।

বুলবুল সেখানে কীভাবে গেলেন, কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। বুলবুল হত্যার ঘটনাটি আননোন মার্ডার কেস হিসেবে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটা হত্যার পাশাপাশি ডাকাতি মামলা হিসেবে টার্ন করবে।’

হত্যাকাণ্ডের পেছনে নির্দেশদাতা বা কারও ইন্ধন ছিল কি না কিংবা কেন এখনই হত্যাকাণ্ডকে ছিনতাই বলছেন এমন প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে গোয়েন্দা পুলিশের কাজ ক্লু উদ্ধার করা ও কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা। যেকোনো ঘটনা ঘটলে আমরা এই কাজগুলো করি।

‘আর এ ঘটনার প্রমাণ হলো, চারজনকে গ্রেপ্তার ও নিহত চিকিৎসকের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা। এমনকি তাদের দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা তদন্তের সময়ে সব দিক বিবেচনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটিকে ছিনতাই মনে হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর