বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ইজিবাইক আটকের প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষে ‘পুলিশের আশ্বাসে’ সড়ক অবরোধ তুলে নেন তারা।সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় বুধবার বেলা ১টার দিকে এই বিক্ষোভ হয়।
ইজিবাইক চালক সাদ্দাম বলেন, ‘রুপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সকালে পাঁচটি ইজিবাইক আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে সেখানে চালকরা বিক্ষোভ করেন। তখন পার্কিং সুবিধা নিশ্চিতসহ আটক গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
‘এরপর আবার আমতলার মোড় এলাকা থেকে দুটি ইজিবাইক এবং চৌমাথা এলাকা থেকে আটটি ইজিবাইক আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে আমরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করি।’
বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে ইজিবাইক চালকদের বিক্ষোভের পর পুলিশ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেয়। সেই সঙ্গে আটক ১৫টি ইজিবাইক বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানায়। আশ্বাস পেয়ে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ থেকে সরে আসেন চালকরা।
তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘আপাতত আমরা অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছি। বললেই তো আর আমরা পার্কিংয়ের জায়গা দিতে পারব না। এটা দেয়ার কাজ সিটি করপোরেশনের।
‘তা ছাড়া এসব ইজিবাইক মহাসড়কে চলাটাও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা হলে সেটার দায় পুলিশকেই দেয়া হবে। ইজিবাইক চলাচলের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আটক হওয়া কোনো ইজিবাইক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বা তাদের আশ্বাসও দেয়া হয়নি।’