রাজধানীর মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ দুজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ মে ফের তারিখ ঠিক করেন।
আদালতে বুধবার এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে রফিকুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলেও রাষ্ট্রপক্ষ এদিন সাক্ষীদের হাজির করতে ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামিম আদালতে সময়ের আবেদন করেন।
নজরুল ইসলাম শামিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সাক্ষীদের আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছি, কিন্তু কোনো সাক্ষী আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় নতুন তারিখের জন্য আবেদন করি। আদালতে সময়ের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।’
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রফিকুল মাদানি ছাড়া মামলার অন্য আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।
২০২১ সালের ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রেজাউল করিম আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
তবে মামলায় উল্লেখ থাকা আরও তিন আসামির ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। তারা হলেন মোহাম্মদ আমজাদ, মো. তাওহীদ ইসলাম ও এইচ এম লোকমান হোসেন।
২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকার মতিঝিল থানায় সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোণার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা।
এ ছাড়া ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম ইউটিউব এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছে। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের জানমাল ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করছেন।