ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সংগীতশিল্পী সন্জীদা খাতুনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ভারত সরকারের বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার। ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী মঙ্গলবার শিল্পীর ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের পক্ষে এই পুরস্কার হস্তান্তর করেছেন।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভারতের হাইকমিশনার বাসায় এসেছিলেন। তিনি সন্জীদা খাতুনের হাতে পদ্মশ্রী পুরস্কারটি তুলে দেন। বাসায় প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো অবস্থান করেন বিক্রম দোরাইস্বামী।’
ভারতের হাইকমিশনার এ সময় সন্জীদা খাতুনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এই চেতনা আগামীতে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সন্জীদা খাতুনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০-২১ সালের পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য সন্জীদা খাতুনকে নির্বাচিত করে ভারত সরকার। এই সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যদের হাতে গত বছরের ২১ নভেম্বর পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।
অবশেষে ভারতের সর্বোচ্চ চতুর্থ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারটি তার বাসায় পৌঁছে দেন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
ড. সন্জিদা খাতুন একজন বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৬০ সালের শুরুর দিকে বাঙালি সংস্কৃতির পরিচায়ক হয়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তার নেতৃত্বে ছায়ানট এখন একটি বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান, যা শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য প্রসারে কাজ করছে।