দেশব্যাপী বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকে আধাবেলা হরতাল জমেনি বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। হরতালে বিএনপি সহ কিছু ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল সমর্থন দিলেও জনজীবনে হরতালের প্রভাব পড়েনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাভারের আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘রোজাকে সামনে রেখে একটি গোষ্ঠী দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। কমিউনিস্ট পার্টিসহ কিছু বামপন্থী দল হরতাল দিয়েছে। তাতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপিসহ আরও কিছু ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল। কিন্তু কেমন হরতাল হলো? এর চেয়ে হেফাজত ভালো ছিল। তারা তো অন্তত মতিঝিলে সমাবেশ করতে পেরেছে। কিন্তু এদের হরতালকে জনগণ সমর্থন করেনি, জনগণ নির্বিঘ্নে কাজ করছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য আরও বলেন, ‘বিএনপির আমলে একদিনের মজুরি দিয়ে চার কেজি চাল কেনা যেত। আজকে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুর এই সকল এলাকার একজন শ্রমিক একদিনের মজুরি দিয়ে ২০ কেজি পর্যন্ত চাল কেনা যায়। কুড়িগ্রাম. লালমনিরহাট, টাঙ্গাইল কিংবা জামালপুরে হয়ত ৮-১০ কেজি চাল কেনা যাবে। এটা কি একটা অর্থনৈতিক সূচক না?
‘কিছু খাদ্য শস্যের দাম বেড়েছে এটা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আমরা কি ব্যবস্থা নিচ্ছি না? আমরা ওএমএস দিচ্ছি, ভিজিএফ দিচ্ছি। ১০ টাকা কেজি চাল দিচ্ছি ৫০ লাখ পরিবারকে। ৫ জন করে ধরলেও আড়াই কোটি মানুষকে আমরা চাল দিচ্ছি।’
আশুলিয়ায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) একাডেমিতে এ সম্মেলন হয়। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন।
সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ফারুক হাসান, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শাহাদাত হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়।