নদী বন্দরে প্রবেশ টিকেট কাটাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চার শিক্ষার্থীদের মারধর ও কানধরে ওঠবস করানোর ঘটনায় তিন শুল্ক প্রহরীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীরা হলেন মো. মিজানুর রহমান, মো. কামাল হোসেন ও মো. জাকির হোসেন।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে তিন শুল্ক প্রহরীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার একটি আদেশ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি ওই তিন শুল্ক প্রহরীকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ববির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নদী বন্দরে প্রবেশ করা নিয়ে ঝগড়া ও মারধরের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে তাদের জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।’
২৫ মার্চ রাতে বরিশাল নদী বন্দরে প্রবেশ টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে কান ধরে ওঠবস ও মারধরের অভিযোগ ওঠে নদী বন্দরের দুই নম্বর কাউন্টারে কর্মরত শুল্ক প্রহরীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে ববির শিক্ষার্থীরা নদী বন্দরে বিক্ষোভ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের মারধর ও কানধরে ওঠবস করানোর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ওইদিন রাত ৮টার দিকে সহপাঠী রাকিব হোসেনকে নদী বন্দরে পৌঁছে দিতে যান। চারজনের মধ্যে একজন নদী বন্দরে প্রবেশের জন্য টিকিট কাটেন। এ নিয়ে চার শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয় শুল্ক প্রহরীদের সঙ্গে। পরে শুল্ক প্রহরীরা তাদের বন্দর ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে একটি কক্ষে আটকে মারধর ও কানধরে ওঠবস করায়।