বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীকে মারধরের বিচার চেয়ে চবি ফটকে তালা

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৮:০৭

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মীরা সামিকে মারধর করেছে। গত পাঁচ-ছয় বছরে আইন বিভাগ প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমারা সবাইকে জানাতে এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এখানে বসেছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তালা খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে দুপুর ১টার দিকে তালা দেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দিলে প্রায় ২টার দিকে তালা খুলে দেয়া হয়।

সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম শিক্ষার্থীর নাম কফিল উদ্দিন সামি। তিনি আইন বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে রোববার বেলা ১টার দিকে মারধরের শিকার হন তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী সামির এক বন্ধু (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ১০ থেকে ১৫ জন এসে তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা শুরু করেন।

‘এরপর লোহার রড দিয়েও মারেন। আমরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্টাফরা এগিয়ে এলে আমাদেরকেও মারতে উদ্যত হন।’

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মীরা তাকে মারধর করেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মীরা সামিকে মারধর করেছে। গত পাঁচ-ছয় বছরে আইন বিভাগ প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমারা সবাইকে জানাতে এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এখানে বসেছি।’

খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘তারা (আন্দোলনকারীরা) আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা আমাদেরকে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমরা কাজ শুরু করেছি, এজন্য একটু সময় দিতে হবে।’

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে এরকম কোনো অভিযোগ আসেনি। এটা তদন্তেরও বিষয়। আমিও যা শুনেছি ভাসা ভাসা। তবে তদন্তে কিছু পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর