বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ শিশুকে ‘বিষ খাইয়ে হত্যা’: মায়ের ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৮:০৭

ওসি জানান, শিশু দুটির মৃত্যুর ঘটনার দুই দিন পর সফিউল্লাহ ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে রংপুর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই শিশুকে হত্যার আট দিন পর মা লিমা আক্তারের প্রেমিক মো. সফিউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। তাকে আশুগঞ্জ থানায় নেয়া হবে।

আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. আজাদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সফিউল্লাহ আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশ্বাই গ্রামের বাসিন্দা।

ওসি জানান, শিশু দুটির মৃত্যুর ঘটনার দুই দিন পর সফিউল্লাহ ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে রংপুর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ আব্দুল্লাহপুর গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের দুই ছেলে ৭ বছরের ইয়াসিন খান ও ৪ বছরের মুরসালিন খান গত ১০ মার্চ নাপা সিরাপ খেয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।

এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পুরো জেলায় নাপা সিরাপ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।

তবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নাপা সিরাপের একটি ব্যাচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিরাপে কোনো সমস্যা পায়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান, দুই শিশুর মৃত্যু নাপা সিরাপের কারণে হয়নি। বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে শিশুদের হত্যা করেন তাদের মা লিমা। প্রেমিক সফিউল্লাহর এনে দেয়া মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সন্তানদের খাওয়ান তিনি।

এ ঘটনায় তাদের বাবা ইসমাঈলের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মা লিমাকে।

হত্যায় অভিযুক্ত মা লিমা আক্তারকে নেয়া হয় আদালতে। ছবি: নিউজবাংলা

পুলিশের ওই কর্মকর্তা সে সময় বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে সন্তানদের হত্যা করেন লিমা। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন মো. সফিউল্লাহ। সফিউল্লার সঙ্গে লিমার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। লিমা গেল দুই বছর ধরে একটি চালকলে কাজ করছেন। সেখানে তার সঙ্গে সফিউল্লার পরিচয় হয়।’

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে জানান, যেদিন দুই শিশুকে বিষ মাখানো মিষ্টি খাওয়ানো হয়, সেদিন লিমার সঙ্গে সফিউল্লাহ ১৫ বার ফোনে কথা বলেন। তাদের ফোনকলের সূত্র ধরেই এই হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘চালকলে কাজ করার সুবাদে শ্রমিক সর্দার সফিউল্লাহর সঙ্গে লিমার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লিমাকে আর্থিকভাবেও সহায়তা করতেন সফিউল্লাহ। সে জন্য লিমা সফিউল্লাহকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফিউল্লাহর শর্ত ছিল, দুই সন্তানকে ছেড়ে আসতে হবে।’

‘শর্ত অনুসারে দুই সন্তানকে বিষ খাওয়ান লিমা। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে ‘‘নাপা সিরাপ খেয়ে" দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।’

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন লিমা। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর