বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দলটি ইতিহাসের নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে ‘ইতিহাসের ফুটনোট’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ দেশের ইতিহাস বিকৃতির জনক হচ্ছে বিএনপি।’
সোমবার নিজের বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতি করেছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, ‘তার এ অভিযোগ চরম অসত্য, ভিত্তিহীন এবং পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। আওয়ামী লীগ কখনও ইতিহাস বিকৃতি করে না বরং প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরে বলেই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ হয়।’
তিনি বলেন, ‘যার নেতৃত্বে বাঙালি জাতির হাজার বছরের আরাধ্য কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আসে, সেই বঙ্গবন্ধু বিএনপির শাসনামলে হয়ে যায় এক নিষিদ্ধ নাম। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা বিএনপি নিষিদ্ধ করে দেয়। বন্ধ করে দেয় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার।’
গণমাধ্যম থেকে পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালানো হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতির ঘৃণ্য চর্চা বিএনপি আবারও শুরু করেছে। বিএনপি নেতারা তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং দণ্ডপ্রাপ্ত, পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বানানোর মতো ঘৃণ্য অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’
বিএনপির হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইতিহাস কিছুই নিরাপদ নয় বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস চলে তার নিজস্ব গতিতে, এ চির সত্য বিএনপি নেতারা হয়তো জানেন না। হাতের তালু দিয়ে যেমন সূর্যকে ঢাকা যায় না, তেমনি স্বাধীনতার ইতিহাসও আজ স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস আজ জানতে পারছে। যারা ইতিহাসের পায়ে শিকল পরিয়েছিল, আজ তাদের স্বরূপ উন্মোচিত হচ্ছে। তাই তো বিএনপি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, শুরু করেছে পুরোনো খেলা, চর্চা করছে অগণতান্ত্রিক পথ, কিন্তু জনগণ এখন সজাগ।’
স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিনষ্টের অপচেষ্টা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণ ঠিকই গর্জে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপি স্বাধীনতাকে হৃদয়ে ধারণ করে না, চেতনায় ধারণ করে না। দলটি একাধিকবার সরকারে থাকলেও এ দেশের মানুষের কল্যাণে কিছুই করেনি, তাই তারা দেশের কোনো ভালো অর্জন দেখতে পায় না।’