বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানের ড্রিমলাইনারের একটানা ১৮ ঘণ্টা ওড়ার রেকর্ড

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ২২:৩১

টরন্টোর স্থানীয় সময় ৭টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটি পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ঢাকা থেকে উড়াল দিয়ে ফ্লাইটটি পাড়ি দিয়েছে ৭ হাজার ৭৩৮ মাইল পথ।

ঢাকা-টরন্টো রুটে উদ্বোধনী ফ্লাইট নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকলেও একদিক দিয়ে অনন্য নজির গড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি। রিফুয়েলিং না করে একটানা সাড়ে ১৮ ঘণ্টা উড়াল দেয়ার নজির গড়েছে বিমানের এই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি।

দেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে লম্বা রুটে চলা বাণিজ্যিক ফ্লাইট।

টরন্টোর স্থানীয় সময় ৭টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটি পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ঢাকা থেকে উড়াল দিয়ে ফ্লাইটটি পাড়ি দিয়েছে ৭ হাজার ৭৩৮ মাইল পথ। বিমানের জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শনিবার রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে ৭০ যাত্রী নিয়ে টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। ফ্লাইটে ৩৬ জন সাধারণ যাত্রী আর ২৪ জনের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল ছিলেন। ফ্লাইটটিতে এতজন সরকারি কর্মকর্তার সফর ঘিরে আগে থেকেই বিতর্ক ছিল।

বিশ্বে বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করে সবচেয়ে লম্বা বাণিজ্যিক রুটটি এখনও কোয়ান্টাস এয়ারলাইনসের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক যেতে কোয়ান্টাসের সময় লাগে ১৯ ঘণ্টা ১৬ মিনিট। এ রুটটিতে বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়। টরন্টো রুটে চালানোর জন্য বিমানও একই ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, ‘এ ধরনের ফ্লাইটকে বলা হয় আল্ট্রা লং হউল। পৃথিবীতে খুব কমই এমন নজির আছে। সাধারণত প্রিমিয়াম যাত্রী, যারা খুব কম সময়ে ভ্রমণ করতে চান তারাই এ ধরনের ফ্লাইট ব্যবহার করেন।

‘তবে এ ধরনের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য লোড প্যানাল্টি দিতে হয়। সাধারণত এ ধরনের একটি উড়োজাহাজে ২০০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা যায় না।’

এ রুটে বিমানের ব্যবহার করা বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজগুলোয় সাধারণত ২৯৬টি আসন থাকে। তবে বিমান যে উড়োজাহাজটি ব্যবহার করছে সেটির আসনসংখ্যা ২৯৮। সব সিটে যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজটি একটানা উড়তে পারে ১৬ ঘণ্টা, পাড়ি দিতে পারে ৭ হাজার ৫৬৫ মাইল পথ। তবে যাত্রীসংখ্যা কমিয়ে ভ্রমণ করলে এটি আরও বেশি সময় আকাশে উড়তে পারে।

টরন্টোয় বিমান প্রথম যে ফ্লাইটি পরিচালনা করল সেটিকে বলা হচ্ছে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট। প্রতিষ্ঠানটি আগেই জানিয়েছে, এই রুটে নিয়মিত ফ্লাইট শুরু হবে আগামী জুন থেকে। নিয়মিত ফ্লাইট শুরু হলে ফ্লাইটির ওড়ার সময় কমে হবে ১৬ ঘণ্টা।

টরন্টো ফ্লাইট উদ্বোধনের আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিমানের করপোরেট প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. মাহবুব জাহান বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত যে রুট রাশিয়ার ওপর দিয়ে, সেটা আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। যেহেতু এখন সেখানে যুদ্ধ চলছে, তাই আমরা বাইপাস করে যাব। এ কারণে আমাদের ফ্লাইটের ডিউরেশন ২ ঘণ্টা বেড়ে যাবে।

‘যখন স্বাভাবিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হবে, তখন যাওয়ার সময় লাগবে ১৬ ঘণ্টা আর আসার সময় লাগবে ১৫ ঘণ্টার মতো। যেহেতু ফ্লাইট টাইমটা বেড়ে গেছে, এ কারণে উদ্বোধনী ফ্লাইটে ১৩০ থেকে ১৪০ জন যাত্রী যেতে পারবেন। যখন স্বাভাবিক ফ্লাইট করব, তখন ২২০ থেকে ২৩০ জন যাত্রী আমরা নিতে পারব। কারণ ২ ঘণ্টা সময় কমে যাচ্ছে। এতে প্রায় ১২ টন তেল কম লাগবে। ১২ টন তেল কম নিলে ৮০ জন যাত্রী অতিরিক্ত নেয়া যায়। সে হিসাবে এটা ভায়াবেল হবে।’

এভিয়েশনবিষয়ক ওয়েবসাইট ফ্লাইট রাডারের তথ্য বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সিঙ্গাপুর-নিউ ইয়র্ক রুট (১৮ ঘণ্টা ২৫ মিনিট), কাতার এয়ারের অকল্যান্ড-দোহা (১৭ ঘণ্টা ৪০ মিনিট), কোয়ান্টাস এয়ারলাইনসের পার্থ-লন্ডন (১৭ ঘণ্টা ২০ মিনিট), এমিরেটস এয়ারলাইনসের অকল্যান্ড-দুবাই (১৭ ঘণ্টা ২০ মিনিট), ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের লস অ্যাঞ্জেলেস-সিঙ্গাপুর (১৭ ঘণ্টা ১৫ মিনিট) উল্লেখযোগ্য।

এ বিভাগের আরো খবর