কয়েক দিন ধরেই বাড়ছিল উত্তাপ। সূর্যের তাপে নাকাল হয়েছে নগরবাসী। এমন সময় এক পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে গেল ইট-পাথরের নগরীকে। হঠাৎ এমন বসন্তবৃষ্টিতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়লেও স্বস্তি ফিরিছে নগরবাসীর জীবনে।
অবশ্য আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা। চৈত্রের দিনগুলো যখন ছুটে চলেছে বৈশাখের দিকে, তখন এমন বৃষ্টিকে কালবৈশাখী নাম দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিলের দিকে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি হয়। এক জায়গায় মেঘ জমা হয়ে বৃষ্টি হয়, সঙ্গে বাতাসও থাকে একটু।’
রোববার দুপুর থেকেই ঢাকায় বাতাস দিচ্ছিল খুব। তবে সেই বাতাসে ঝড়ের কোনো পূর্বাভাস ছিল না।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘আমরা এমন সময়ের বৃষ্টিকে কালবৈশাখী ঝড় বলি। আজকে যে ঢাকায় বৃষ্টি হলো সেটাও ওই বজ্রমেঘ থেকে বৃষ্টিপাত।’
তবে বসন্তবৃষ্টি শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় জেলা ভোলাসহ সিলেট, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জেও হয়েছে বৃষ্টি। এমনকি উত্তরপশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জেও হয়েছে বৃষ্টি।
বজ্রমেঘ থেকে এই বৃষ্টি জানিয়ে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘এই বজ্রমেঘগুলো লোকালাইজড (স্থানীয়ভাবে একটি জায়গায় জড়ো হওয়া মেঘ)। খুবই হাইলি লোকালাইজড, স্থান ভেদে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হতে পারে। এই মেঘ থেকে ঝড় হয়।’
তবে এমন বৃষ্টির স্থায়িত্ব বেশি নয় বলে জানা গেলো তার কথায়। তিনি জানান, ‘খুবই অল্প সময়ের জন্য, ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার মতো বৃষ্টি পড়ে, আবারও ঠিক হয়ে যায়।’
এমন বৃষ্টিপাত কতদিন ধরে চলতে পারে, তা জানতে চাওয়া হয় আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিকের কাছে। তিনি বলেন, ‘এ রকম এখন থাকবে। বিশেষ করে সিলেটে প্রতিদিনই এমন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সোমবার দেশের দক্ষিণাঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল এবং সিলেটে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে।