হাজার বছরের শোষিত, অপমানিত এবং নির্যাতিত বাঙালি জাতিকে উদ্ধার করতে ঈশ্বরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই বদ্বীপে পাঠিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিল না বলেই আমরা পাঁচ হাজার, এক হাজার, পাঁচশো বা একশ বছর আগে স্বাধীন হইনি। সমগ্র বাঙালি জাতিকে তার সোনালী সন্তানের জন্য চার হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির জন্য গড সেন্ট- ঈশ্বর প্রেরিত। ত্রাণকর্তা হিসেবে তাকে ঈশ্বর এই ভূমিতে পাঠিয়েছেন। তিনি বাঙালি জাতির ত্রাণকর্তা।’
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে হল ছাত্রলীগ আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাইনাল খেলায় গেরিলা-৭১ টিমকে ৪৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্র্যাক প্লাটুন একাদশ।
অনুষ্ঠানে বেনজীর বলেন, ‘ক্ষুধা, অন্ধকার, অশিক্ষা আর রোগের সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ সংগ্রাম ছিলো নিত্য। বঙ্গবন্ধু এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে সেই নিরন্তর লড়াই থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে নতুন লড়াইয়ের পথ দেখিয়েছেন। আর এই লড়াই হলো আত্মমর্যাদা অর্জনের লড়াই। ক্ষুধাকে পরাজিত করার লড়াই।’
তিনি বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্ষুধাকে পরাজিত করেছে। যদি দুই বছর করোনা না হতো তাহলে আমাদের ১৯ শতাংশ মানুষ যে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে তারা উপরে চলে আসত। আমাদের ধারণা আগামী দুই বছরের মধ্যে এদেশে আর কোন অভুক্ত বা অনাহারী পরিবারে নতুন কোনো শিশুর জন্ম হবে না।’
বেনজীর বলেন, ‘আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ তার আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি কাব্যগ্রন্থে যে ক্ষতের কথা বলেছেন সেটি ঐতিহাসিক দাসত্ব, শৃঙ্খল এবং নির্যাতনের ক্ষত। হাজার বছরের সেই নির্যাতন, নিষ্পেষন থেকে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে মুক্ত করেছেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বেনজীর বলেন, ‘আমরা এসেছি অনেকদূর কিন্তু যেতে হবে আরও বহুদূর। সেই বহুদূরের যাত্রায় তোমরাই হবে সারথী। সেজন্য তোমাদের নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। রাজনীতির সঙ্গে মেধার কোনো বিরোধ নেই। বরঞ্চ মেধার সঙ্গে রাজনীতির রয়েছে একটা মেলবন্ধন। যে যত বেশি মেধাবী সে তত বেশি ভালো রাজনীতিবিদ। আর যে ভালো রাজনীতিবিদ তার থেকেই দেশ বেশি উপকার পেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘চার হাজার বছরে যা ঘটেনি বঙ্গবন্ধু একাই সেটি ২৪ বছরের সংগ্রামের মাধ্যমে করে দিয়ে গেছেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে পঞ্চাশ বছর কিন্তু বিগত ১৪ বছরে বঙ্গবন্ধু তনয়া তার একক নেতৃত্বে যে বিস্ময়কর পরিবর্তন সম্পন্ন করেছেন এটির মাধ্যমে প্রতিয়মান হয় যোগ্য লোক যদি দেশের কান্ডারি হয় তাহলে পরিবর্তনের জন্য লক্ষ লক্ষ লোকের প্রয়োজনের নেই।’
এসময় তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতি এবং খেলাধুলা করার জন্য জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মোল্লা মো আবু কাউছার, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়সহ অনেকে।