বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসলামী সরকার ছাড়া সাম্য সম্ভব নয়: ইসলামী আন্দোলন

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ১৯:১৭

‘স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়েছিল সাম্যকে রক্ষা করার জন্য। যেখানে গরিব ও ধনীর মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, মালিক-শ্রমিক, সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না, ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। কিন্তু এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ভেদাভেদ চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। সাম্য বলতে কিছুই নেই।’

বর্তমান সরকারকে সরিয়ে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে চরমোনাইয়ের পীরের রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন। দলের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘এই ব্যধিগ্রস্ত ও বিকারগ্রস্ত সরকারকে পরিবর্তন করে এক স্বচ্ছ- সুন্দর ইসলামী সরকার না বসানো পর্যন্ত দেশে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।’

রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ: নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে সভার আয়োজন করে দলটির সহযোগী সংগঠন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।

ফয়জুল করিম দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মকে আবার যুদ্ধ করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয়বার যুদ্ধ করে হলেও দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার- এই তিনটি মূলনীতির ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। আজকে আমরা কোথাও সাম্য দেখছি না।

‘স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়েছিল সাম্যকে রক্ষা করার জন্য। যেখানে গরিব ও ধনীর মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, মালিক-শ্রমিক, সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না, ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। কিন্তু এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ভেদাভেদ চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। সাম্য বলতে কিছুই নেই।

‘কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে অর্থ আর হাজারো মানুষ নীরব দুর্ভিক্ষে পৃষ্ট হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে। এর জন্য তো স্বাধীনতা সংগ্রাম করা হয়নি।’

ভারতের অনুকরণে দেশের সবাইকে মদ খাওয়ানোর পরিকল্পনা চলছে বলেও দাবি করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা। বলেন, ‘এখন ২১ বছর হলেই মদ খাওয়ার অনুমতি পাবে। যেখানে একশ মদখোর থাকবে, সেখানে দোকান খুলতে পারবে। তাহলেেআগামী ৫০ বছর পরে এদেশের অবস্থা কী হবে এটা চিন্তা করা যায় না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলেও মনে করেন ফয়জুল করীম। বলেন, ‘কীভাবে পারবে? পারা তো সম্ভব না। দুর্নীতিবাজদের দিয়ে দুর্নীতি রোধ করা যায় না। আর এই দুর্নীতি হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাধি। দেশে এখন সব জায়গায় সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট মুক্ত দেশ গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মকে সোচ্চার হতে হবে।’

সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আক্তারুজ্জামান হামিদী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার কামরুল হক।

এ বিভাগের আরো খবর