ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক ৬ নম্বর আমলি আদালতে রোববার বিকেলে আসামিদের হাজির করা হলে বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন জেলার ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের মোকামিয়া গ্রামের রুবেল মিয়া ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাফেজ দ্বীন ইসলাম।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।
উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের বাতিকুরা গ্রামে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
৫৫ বছর বয়সী নিহত নারীর নাম উম্মে কুলসুম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাকান্দা থানার এসআই আবুল কালাম জানান, হাফেজ দ্বীন ইসলাম বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগ-জামাতের দাওয়াত দেয়ার অজুহাতে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে ছিনতাই করতেন। এভাবে একসময় রুবেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর থেকে দুজন মিলে এ কাজ করতে থাকেন।
সম্প্রতি ছিনতাইয়ের জন্য ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকাকে বেছে নিয়েছিলেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে তারাকান্দার ওই বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধা উম্মে কুলসুমকে একা পান তারা। তাবলিগ-জামাতের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে কুলসুমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ধরে টান দেন তাদের একজন।
এ অবস্থায় কুলসুম ধস্তাধস্তি শুরু করলে পাশে থাকা দা দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন দ্বীন ইসলাম ও রুবেল। তবে বৃদ্ধার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, সে রাতেই হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান জজ। তাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ওই দুজনকে।