চট্টগ্রামে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।
নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
নিহত ২৫ বছরের ফাতেমা আক্তার কলি সদর উপজেলার কাদির হানিফ গ্রামের টোকেনের বাড়ির আহছান উল্যার মেয়ে।
অভিযুক্ত উপপরিদর্শক ৩৬ বছরের মিজানুর রহমান জাবেদ বিনোদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম জেলার আরআরএফে (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স) সংযুক্ত রয়েছেন।
এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তারা চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে বাসা থেকে কলির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ সকালে কলির বাবা আহছান উল্যাহ হালিশহর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল মামুন।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে মিজানের সঙ্গে কলির বিয়ে হয়। বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে ও অবৈধভাবে অনেক টাকা উপার্জনে বাধা দেয়ায় কলিকে তিনি বিভিন্ন সময় মারধর করতেন। কয়েক মাস আগেও তাকে বেধড়ক মারধর করেন মিজান। তখন কলির মা তাদের বাসায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
এসব ঘটনা মা-বাবাকে জানালে কলিকে হত্যার হুমকি দেন মিজান। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ মিজানের ভাই জুয়েল ফোন করে অসুস্থ হয়ে কলি হাসপাতালে আছে বলে জানান। পরে কলির বাবা হালিশহর থানায় গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে মারা গেছে এবং মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। কলির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মানববন্ধনে স্বজনরা কলি হত্যার বিচার এবং দ্রুত মিজানকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হালিশহর থানার এসআই সহদেব কুমার সরকার বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’