মাগুরা জেলা শাখার বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতালের প্রচার মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ করেছে দলটি।
চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে সোমবার অর্ধদিবস হরতালের দাবিতে শহরে মিছিল বের করা হলে ঢাকা রোড এলাকায় হামলা করে কিছু যুবক। এজন্য জোটের নেতারা হামলায় ছাত্রলীগকে দায়ী করে নিন্দা ও বিচার দাবি করেছেন।
নিত্যপণ্যের দাম কমানো ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ার পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সোমবার দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে হরতালের প্রচার মিছিল রোববার সকাল বেলা ১১টায় শুরু হয়। এরপর শহরের চৌরঙ্গী মোড় হয়ে ঢাকা রোডের কাছাকাছি গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করেন বলে জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন।
হামলার বিষয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শম্পা বসু বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনের মিছিলটি নিয়ে শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে পুরাতন বাজার হয়ে ঢাকার রোডের কাছাকাছি যাই। জামরুলতলা এলাকায় গেলে হামলা করেন কিছু যুবক। তারা নিজেদের ছাত্রলীগের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, মিছিল বন্ধ করতে হবে। আমরা বলি এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, আমরা মিছিল করব।
‘তারা তখন আমাদের মাইক ভাঙচুর করে, মাইকের সেটবক্স ও মাইক্রোফোন নিয়ে চলে যান। এ সময় ব্যানার ও মাইক নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয় আমাদের মধ্যে। মোবাইলে ছবি তুললে তারা মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। নিয়ে সব ছবি মুছে দেয়। পরে তারা তাড়াহুড়ো করে চলে যায়।’
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি নাহিদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি শুনেছি কে বা কারা এরকম একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে যারা হামলা করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নন।’
সোমবার হরতাল সমর্থনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি বীরেন বিশ্বাস ও সদস্য সামছুন নাহার জোছনা।