লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মহান স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পরে উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রামগতি থানায় শনিবার রাতে এই মামলা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদ পারভেজ। মামলায় আরও ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
মামলার পর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন ও পৌরসভার কাউন্সিলর দিদারুল আলম খন্দকারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ওসি আলমগীর বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদ পারভেজ ১৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’
তবে এই ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিত বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান।
তিনি দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার দুই বিএনপির নেতার মুক্তি দাবি জানান। বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী লীগ। আর এখন উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করা হয়েছে।’
এ ঘটনার তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানান তিনি।
রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিএনপির লোকজন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতার্মীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হন।