দেশের বিরুদ্ধে একশ্রেণির রাজনীতিক ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশে পোশাকশিল্পে থাকা জিএসপি সুবিধা বন্ধ করতে বিদেশে লবিং নিয়োগ দিয়েছে। রাজনীতিক হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে এমন ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ কারা করেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
বলেছেন, ‘রাজনীতি করেন জনগণের জন্য। আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ নেন। আপনারা কারা? হু আর ইউ? কী চান আপনারা?’
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত স্মারকগ্রন্থ ‘অনশ্বর পিতা’র মোড়ক উন্মোচন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের ‘রংতুলিতে আঁকি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনীতির কারণে দেশে বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। তার পেছনে কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আমরা এ দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক শান্তি এবং সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা।’
সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণেই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বলেন, ‘বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট আসার যে অনুকূল পরিবেশ বাংলাদেশে এখন আছে এবং বিদেশি ইনভেস্ট করতে ভরসা পায়, সাহস পায়। কারণ এখানেই অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।’
দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একশ্রেণির ‘শকুন’ হামলা করে খামচি দিয়ে টেনে নামাতে চায় বলে জানান পুলিশপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘একশ্রেণির মানুষ যারা ক্রমাগত আমাদের খামচে ধরে টেনেহেঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে যেতে চায়, ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে চায়, তারাই বারবার শকুনের হামলা করে, সেই হামলাতেও কিন্তু পুলিশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই শকুনকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছি।’
আগামী দিনেও সেসব শকুনকে প্রতিহত করা হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মেবারের রাজা রতন সিং বাবরকে ভারত আক্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আমরা দেখি এই ভূত এখনও যায়নি। আমাদের নেতারা চিঠি লেখে জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য, লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার জন্য।
‘রাজনীতি করছেন করেন, জিএসপি বন্ধ করে কার টুঁটি চেপে ধরতে চান? ২২ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করে গার্মেন্ট সেক্টরে। প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ সরাসরি কাজ করে এ সেক্টরে।’
তিনি বলেন, ‘জেএসপি বন্ধ হলে কার ক্ষতি হবে? অর্থনৈতিক অবরোধ হলে কার ক্ষতি হবে? রাজনীতি করেন জনগণের জন্য, আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ নেন। আপনারা কারা, হু আর ইউ? কী চান আপনারা?’
আইজিপি বলেন, ‘এ কারণেই গতকাল রাতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা বলেছি। আমাদের মধ্য থেকে এই কলুষিত অংশ, এই দূষিত অংশ, উন্নত মূল্যবোধ, উন্নত জাতীয়তাবোধ, উন্নত আত্মশ্লাঘার মাধ্যমে এই সব কলুষিত অংশকে আমাদের জাতিসত্তার শরীর থেকে পরাজিত করতে হবে। সে জন্য সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক আন্দোলন দরকার আছে। আমরা সামনে এগিয়ে যাব দুর্বার গতিতে, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আছে।’