বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলমাকান্দায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা’ 

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২২ ১৭:৫২

যুবলীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করেনি। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়তো নিজেরাই নিজেদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে এখন সরকারি দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই না।’

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যাবার সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা এ হামলার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগসহ সরকারি দলের নেতাকর্মীদের দায়ী করে বলেছেন, এতে অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে সরকারি দলের স্থানীয় নেতারা হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেছেন, ‘একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের ধান মহাল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সকালে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মধ্যবাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিলিত হন। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে রওনা হন। তারা ধান মহাল এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এ সময় উভয় দলের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মতিন, আনোয়ারুল হক টুটন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক চন্দন মিয়া, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আরাফাত রহমান, ছাত্রদলের সদস্যসচিব শেখ রবিন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হাসান, খারনৈ ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি তমাল মিয়া ও আরাফাতসহ ১৫-২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাসের ফোনে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ বিশ্বাস হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

যুবলীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করেনি। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়তো নিজেরাই নিজেদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে এখন সরকারি দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই না। আওয়ামী লীগ হিংসা বা সন্ত্রাসের রাজনীতি বিশ্বাস করে না।’ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, ‘উপজেলার ধান মহাল এলাকায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এ নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

এ বিভাগের আরো খবর