মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বগুড়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ওপর জেলা যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। শহরের মুক্তির ফুলবাড়ী স্মৃতিস্তম্ভে শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের দাবি, স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল আমিন, সারিয়াকান্দি উপজেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য মেহেদী হাসান মানিক, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য তামিম, সাদিক ও অন্তর। তাদের সবাইকে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের নাম-পরিচয় জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, বেলা ১১টার দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে প্রায় ২০০ নেতাকর্মী মুক্তির ফুলবাড়ীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে প্রায় ১০০ নেতাকর্মীর একটি মিছিল সামনে আসে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ সময় তারা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তারা মহিলা কলেজের সামনে গিয়ে জড়ো হন।’
তিনি আরও বলেন, সেখানেও যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেন। এ সময় যুবলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। হামলায় প্রায় ১৫ জন আহত হন।
জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনা বড় কিছু না। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুবলীগ কর্মীদের প্রতি ওয়ার্ডে কর্মসূচি সঠিকভাবে পালনের নির্দেশ দেয়া ছিল। সেই কর্মসূচি দেখতে আমাদের একটি মিছিল ফুলবাড়ী হয়ে মাটিডালি যাচ্ছিল।
‘এ সময় ফুলবাড়ী এলাকায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ছেলেদের বিভিন্ন ব্যানার হাতে দেখা যায়। এদের মধ্যে বেশ কিছু শিবিরের লোকজন ছিলেন। তারা বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন আমাদের মিছিল থেকে তাদের ওই স্লোগান দিতে নিষেধ করা হয়।’
যুবলীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘এ সময় উচ্চস্বরে কথার মাঝে হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। তবে কারও ওপর হামলা করা হয়নি। ওই দৌড়াদৌড়িতে ছাত্র অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।’
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর সুজন মিয়া বলেন, ‘আমি জানতাম না তারা ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউ। তারা স্মৃতিস্তম্ভে এসে নানা রকম স্লোগান দিতে থাকেন। এ নিয়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।’