ফেনী সদরের কাশিমপুরে স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্ট কারখানায় আগুন লাগে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে। এরপর রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভেনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নেভাতে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকেও কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট।
ফেনীর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মুহুর্তে (শনিবার দুপুর দেড়টা) ২টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন শতভাগ নেভাতে আজ বিকেল পর্যন্ত সময় লাগবে।’
আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি। বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
এদিকে মালিক পক্ষের দাবি, আগুনে কয়েক কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্টার লাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টার কমতি নেই। যেহেতু ফ্যাক্টরির ভিতরে কাগজ, কার্টন রয়েছে সে কারণে আগুন নিভতে সময় লাগছে। সামান্য কিছু জিনিস আমরা অন্যত্র সরাতে পেরেছি। বাকী সব প্রস্তুতকৃত পণ্য, কারখানার মেশিন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।’
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফ্যাক্টরিতে যা আছে সব শেষ হয়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যেহেতু দেড় হাজার কর্মচারী আছে তাদের ব্যাপারে আমরা চিন্তা করছি। শ্রমিকদের দিক বিবেচনা করে হলেও আমরা দ্রুত কার্যক্রম শুরু করব।’
এদিকে দীর্ঘ সময়ে আগুন না নেভার কারণ হিসেবে কারখানার নির্মাণ ত্রুটিকে দায়ী করছেন ফায়ার সার্ভিসের বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের সহকারি পরিচালক জসিম উদ্দিন মজুমদার। বলেন, ‘কারখানাটি নির্মাণে ত্রুটি থাকার কারণেই বারবার আগুন লাগে। প্রত্যেকটি গোডাউন পাশাপাশি হওয়ায় একটি থেকে আরেকটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বাতাসের কারণেও আগুন উসকে উঠছে।’
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, আগুন শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও সময় লাগবে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং আগুনের সূত্রপাত কিভাবে, সেটি এখনো জানা যায়নি। কারখানার ভিতরে যে সব প্রোডাক্ট রয়েছে, সব নষ্ট হয়ে গেছে।’