মহান স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতো জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল গাজীপুরের ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড়শ শিক্ষার্থী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটা পতাকা নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসে তারা।
ওই সময় ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির কচি-কাঁচা একাডেমি ও নয়নপুর এনএস আদর্শ বিদ্যালয়ের আরও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও শ্রদ্ধা জানান।
ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন ফাহিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা রাজেন্দ্রপুর থেকে ভোরবেলা স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে বাসে রওনা করি। জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাত থেকেই উদগ্রিব ছিলাম আমরা। কলেজের পক্ষ থেকে এবার দীর্ঘ একটা লাল-সবুজের পতাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘সেই পতাকার চারপাশে ধরে আমরা স্মৃতিসৌধের ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত হেঁটে এসেছি। পরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে সবাই শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি বছরই আমাদের কলেজের শিক্ষকরা এভাবেই স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পালনে আমাদের নিয়ে আসেন। এখানে আসার অনুভূতিটা বলে বোঝানো যাবে না।’
তাসনিমুন হাসান শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আজ আমরা তাদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হয়ে আমরা দেশের কল্যাণে কাজ করতে চাই। এটাই আমাদের শপথ।’
ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অমিতাভ হালদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে আসি। এবার ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটা পতাকা তৈরি করেছি আমরা।
‘বাচ্চাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। কিছুটা কষ্ট হলেও শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি।’