রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশে হয়েছে কি না, এখনই সে ব্যাপারে মন্তব্য করতে চান না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শহীদ পুলিশ স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কি না, সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাই না। আমরা আশা করি, খুব শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এর পেছনে কারা, নাটের গুরু কারা, কারা ঘটনা ঘটিয়েছে, সব কিছুই খোলসা করে আপনাদের জানিয়ে দেব।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে। যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ সময় টিপু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও ২৪ বছর বয়সী কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে খুন হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী। আলোচিত এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন তৎকালীন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।
শহীদ পুলিশ স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
পরে একে একে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি ও বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল গার্ড অব আনার প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কর্মরত বীর পুলিশ সদস্যরা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।