বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রংপুর মেডিক্যালে পানির জন্য হাহাকার

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ২২:২১

এক নার্স বলেন, ‘একজন মানুষ কতবার ওপরে-নিচে নেমে পানি তুলবেন। একটা মানবিকতা থাকা দরকার। আমরা না হয় শিফট করি, কিন্তু রোগীরা তো খুবই দুর্ভোগে পড়েছে। এর আগেও একবার এমন হয়েছে, সেবারও খুব কষ্ট হয়েছে।’

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বর্ধিত ছয়টি ওয়ার্ডে নেই পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ওয়ার্ডগুলোর জন্য বসানো হয়েছে দুটি পানির পাম্প। এর মধ্যে একটি গত ২০ মার্চ ও আরেকটি তার পরদিন নষ্ট হয়ে যায়।

সে কারণে অর্থোপেডিক, গ্যাস্ট্রোলজি, ইউরোলজি, মেডিসিন, অপারেশন থিয়েটার ও বহির্বিভাগে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

পানি না থাকায় টয়লেটের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে ওয়ার্ডগুলোয়।

ঠাকুরগাঁও থেকে আসা মো. মুন্না বলেন, ‘আমার মা গ্যাস্ট্রোলজিতে ভর্তি আছেন। চার দিন ধরে পানি নেই। ওয়াশরুমে যাওয়াই যায় না। অনেক সমস্যায় ভুগছি। রোগীরা কোথায় টয়লেট সারবেন, আমরা যাব কোথায়?’

রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে আসা রোগী কবির সরেন বলেন, ‘আমি গতকাল আসছি। পানি নেই। নিচতলা থেকে আমার চাচা পানি আনতেছেন, ওই পানি দিয়ে বাথরুম সারি, ওই পানি খাই।’

ইউরোলজি ওয়ার্ডে ছেলেকে ভর্তি করেছেন শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ভর্তি আছে, পায়খানা চাপ দিলে কোলে করে বাইরে নিয়ে যাই। আবার আনি। কাকে কই, কতবার কইলাম কেউ তো শোনে না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে তো একটা পাইপ লাগিয়ে দিতে পারে। একজন মানুষ কতবার ওপরে-নিচে নেমে পানি তুলবেন। একটা মানবিকতা থাকা দরকার। আমরা না হয় শিফট করি, কিন্তু রোগীরা তো খুবই দুর্ভোগে পড়েছে। এর আগেও একবার এমন হয়েছে, সেবারও খুব কষ্ট হয়েছে।’

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, পাম্প ঠিক করতে একটু সময় লাগবে; কাজ চলছে।

রংপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা কাজ করতেছি। যত দ্রুত সম্ভব ঠিক হয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর