বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইছামতীর ভাঙনে বধ্যভূমি

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ২২:০৫

একাত্তরে অমিয় বাবুসহ অনেককে গণকবর দেয়ার প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মম নির্যাতন করে অমিয় বাবুসহ কয়েকজনকে ইছামতি নদীর তীরে হত্যা করা হয়েছিল। সেই স্মৃতি আজও আমাদের চোখে ভাসে, কিন্তু এই স্থান সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেই। অরক্ষিত থাকলে কবরগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দিনাজপুরের খানসামায় সংরক্ষণ করা হয়নি বধ্যভূমি। ইছামতী নদীর তীরে অরক্ষিত গণকবর ভাঙনে বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাঁশের বেড়ায় ঘেরা সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন পরিবার ও স্থানীয়রা।খানসামা ডিগ্রি কলেজের আয়োজনে শুক্রবার ইছামতী তীরে অরক্ষিত বধ্যভূমিতে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় বাঁশের বেড়ার স্মৃতিস্তম্ভে খানসামা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

খানসামা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্মরণ সভা বক্তব্য দেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, শহীদ অমিয় কুমার গুহের দৌহিত্র ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকেশ গুহ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এরশাদ জামান।

স্থানীয়রা জানান, খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সদস্য বাবু অমিয় কুমার গুহকে ১৯৭১ সালের ১ জুন রাতে রাজাকাররা ধরে নিয়ে যায়। পর দিন পাকিস্তানী হানাদাররা তাকে পুলহাট নামক স্থানে ইছামতী নদীর তীরে গুলি করে হত্যা করে। একই স্থানে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত টেডি ডাক্তার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী খট্টু মিয়াকে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী। পরে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ নদী থেকে তুলে কবর দেন।

তাদের পরিবার শহীদ পরিবার হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি আজও পায়নি। অমিয় কুমার গুহয়ের নামে একটি রাস্তার নামকরণ ছাড়া কোনো সাহায্য-সহানভুতি পায়নি পরিবার।

গণকবরের তালিকা ও সংরক্ষণ, শহীদ পরিবার ও রাজাকারের তালিকা আজও প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

একাত্তরে অমিয় বাবুসহ অনেককে গণকবর দেয়ার প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মম নির্যাতন করে অমিয় বাবুসহ কয়েকজনকে ইছামতি নদীর তীরে হত্যা করা হয়েছিল। সেই স্মৃতি আজও আমাদের চোখে ভাসে, কিন্তু এই স্থান সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেই। যা কষ্টদায়ক। অরক্ষিত থাকলে কবরগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’

শহীদ অমিয় কুমার গুহের দৌহিত্র রাকেশ গুহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছু করলেও আমরা সরকারি তালিকভুক্ত হইনি এবং গণকবর সংরক্ষণ আজও হয়নি।’

শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে গণকবর সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন খানসামা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর