বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুপুর থেকে পুড়ছে স্টার লাইন ফুডের কারখানা

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ২০:০৩

স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টসের পরিচালক মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সামনে রোজা। এখন কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কোটি টাকা শেষ হয়ে গেছে। কারখানার সব প্রোডাক্ট ও যন্ত্রপাতি শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু চেষ্টা আশপাশের ঘরগুলো বাঁচানো।’

ফেনীর স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টসের কারখানায় দুপুরে লাগা আগুন নেভেনি সন্ধ্যায়ও। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের বৃহত্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, আগুন যেন না বাড়ে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তবে বাতাসে আগুন বেশি ছড়িয়েছে বলে নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের ওই কারখানায় শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আগুন লাগে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখা গেছে সেখানে।

জসিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা কারখানাটি করেছে তারা নিয়মমাফিক না করার কারণে বারবার আগুন লাগে। প্রত্যেকটি গোডাউন পাশাপাশি হওয়ার কারণে একটি থেকে আরেকটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বাতাসের কারণে আগুন উসকে উঠছে।’

স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টসের পরিচালক মাইন উদ্দিন জানান, ওই কারখানায় সেমাই, বিস্কুট, নুডুলস, কেক, চানাচুর, পাউরুটিসহ নানা রকম খাদ্যপণ্য তৈরি হয়। প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

তিনি বলেন, ‘সব শেষ হয়ে গেছে। সামনে রোজা। এখন কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কোটি টাকা শেষ হয়ে গেছে। কারখানার সব প্রোডাক্ট ও যন্ত্রপাতি শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু চেষ্টা আশপাশের ঘরগুলো বাঁচানো।’

স্টার লাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কারখানা করতে নিয়মমাফিক কাজ করেছি। হয়তো শতভাগ করা সম্ভব হয়নি।’

কারখানার শ্রমিক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য খুব খারাপ, সামনে রোজার ঈদ আসছে, মালিকে টাকা রোজগার করতে না পারলে আমাদের কীভাবে দেবে? এখন আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’

সেমাই শ্রমিক নুরুল আফসার জানান, সেমাইয়ের কাজে প্রায় ৫০০ শ্রমিক কাজ করেন। রমজান মাস উপলক্ষে অনেক কাজ চলছিল। সব পুড়ে ছাই হলো।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষ ভিড় করছে। তাদের সরিয়ে টহল দেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর