বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ধর্ষণে বাধা দেয়ায়’ নারী ইউপি সদস্যকে হত্যা

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ১৬:২৯

র‍্যাব-১২-এর বগুড়ার কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন বলেন, ‘লতিফ একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালেও একটি ধর্ষণ মামলা আছে। সেই মামলায় সাত বছর কারাগারে ছিলেন। মামলাটি বিচারাধীন।’

ধর্ষণে বাধা দেয়ায় ছয় মাস আগে নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

হত্যা মামলায় আব্দুল লতিফ নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তারের পর এই তথ্য জানায় র‍্যাব।

মুন্সীগঞ্জ থেকে বৃহস্পতিবার ৬০ বছর বয়সী লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি বগুড়ার ধুনটে।

র‍্যাব-১২-এর বগুড়ার কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে ওই নারী ইউপি সদস্যের সঙ্গে লতিফের পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর একটি ইটভাটার কাছে ওই নারীকে ডেকে নেন লতিফ।

তাকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ইউপি সদস্য তাকে বাধা দিলেও তিনি তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ ইটভাটার পাশের ধানক্ষেতে ফেলে চলে যান।

র‍্যাব জানায়, ধর্ষণ ও হত্যার পর লতিফ প্রথমে নোয়াখালী গিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। এরপর সেখান থেকে মুন্সীগঞ্জ গিয়ে আত্মগোপন করেন। ধর্ষণে বাধা দেয়াতেই তিনি ওই নারীকে হত্যার কথা র‍্যাবকে জানান।

সোহরাব হোসেন বলেন, ‘লতিফ একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালেও একটি ধর্ষণ মামলা আছে। সেই মামলায় সাত বছর কারাগারে ছিলেন। মামলাটি বিচারাধীন।’

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মথুরাপুর ইউনিয়নের একটি ধানক্ষেত থেকে নারী ইউপি সদস্যের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৩ সেপ্টেম্বর তার ভাই ধুনট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর থেকেই এই মামলার তদন্তে নামে র‍্যাব।

এ বিভাগের আরো খবর