রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বান্ধবীর বাসায় আড্ডা দিয়ে শান্তিবাগে নিজ বাসায় ফিরছিলেন কলেজছাত্রী সুমাইয়া আফরিন প্রীতি। মাঝপথে বাবা জামান উদ্দিনের ফোন পান তিনি। জামান তার মেয়েকে জানান, বাসায় অতিথি আছে; সে যেন বান্ধবীর বাসাতেই ফিরে যায়।
বাবার কথা অনুযায়ী রিকশা করে বান্ধবীর বাসায় ফিরছিলেন প্রীতি। পথে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ যায় তার। রাজধানীর শাহজাহানপুরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অস্ত্রধারীর গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও প্রীতি নিহত হন। টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় টিপুর পরিবার হত্যা মামলা করেছে, তবে প্রীতির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
তার বাবা জামান উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছিল, তবে রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল। খিলগাঁওয়ে ওর বান্ধবীর বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করত; আড্ডা দিত।’
গত রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও আড্ডা দিয়ে বাসায় আসছিল। বাসায় আসার পথে ফোন দিয়ে বললাম, ‘তোর মামা আসছে চিটাগং থেকে। আজকে বান্ধবীর বাসায় থাক, কালকে আসিস।’ আধা রাস্তা আসার পর আবার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি বলেন, ‘প্রীতি বড় মেয়ে আমার। আরেকটা ছেলে আছে। ও এবার এসএসসি পরিক্ষা দেবে।’
কোথায় প্রীতির মরদেহ দাফন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে খিলগাঁও অথবা শাহজাহানপুর দুই জায়গার এক জায়গায় আজকেই দাফন করব, তবে এখনও ওভাবে সিদ্ধান্ত নিই নাই।’