রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকাল পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৬ মার্চ রাজশাহীর কাটাখালীতে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালকের জামিন না হওয়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে অনেক আগেই উঠে এসেছে যে মহাসড়ক দিয়ে বাঁশ নিয়ে যাওয়া ভ্যান এবং মাইক্রোবাসের বেপরোয়া গতির কারণে কাটাখালীর ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তারপরও এক বছর ধরে চালককে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাই উত্তরাঞ্চলে এই ধর্মঘট দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, চালকের জামিন দাবিতে ১৫ মার্চ শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়। পরদিন জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপিও দেয়া হয়। সে সময়ই ঘোষণা দেয়া হয়, ২৪ মার্চের মধ্যে চালকের জামিন না হলে দুই বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে। দুই বিভাগের শ্রমিক নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি এবং কাভার্ড ভ্যান সমিতির সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, শ্রমিক ইউনিয়নের মাইক্রো শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. বাপ্পী, জেলা মিশুক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম ভুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগের ওই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার বাড়ি রংপুরে। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসের ১৮ যাত্রীর মধ্যে চালকসহ ১৭ জনই মারা যান। ওই ঘটনায় কাটাখালী থানায় সড়ক আইনে মামলা করে পুলিশ।