রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেয়া চার শিশুর মধ্যে আরও একজন মারা গেছে। এ নিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে এক ছেলেশিশু মারা যায়। বাকি দুই মেয়ের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসক মনিকা মজুমদার।
শিশুর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকের অবহেলা ও ওয়ারমার (মেশিন) নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন নিহত ওই শিশুর বাবা মনিরুজ্জামান বাঁধন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নষ্ট মেশিনে সারা দিন আমার বাচ্চাকে রেখেছে। আমি জানতে চাইলে ওখানকার লোকজন বলে মেশিন ঠিক করার দায়িত্ব আমাদের না।’
তিনি বলেন, ‘সকালে বলেছে বাচ্চাদের অক্সিজেন লাগবে না। এখন বলতেছে অক্সিজেন লাগবে। এটা কেমন কথা। ওরা আমার বাচ্চাদের মেরে ফেলতিছে।’
চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মনিকা মজুমদার। বলেন, ‘বাচ্চাদের ওয়ারমারে রাখা হয়েছে। ওয়ারমারে রাখা নিয়ে কোনো নবজাতকের মৃত্যু হয় না। মূলত বাচ্চাদের ওজন কম, মাত্র ৭০০ গ্রাম। এমন বাচ্চাদের টিকিয়ে রাখা চিকিৎসকদের জন্য কঠিক কাজ। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। চিকিৎসার কোনো সমস্যা নেই।’
বিয়ের আট বছর পর কুড়িগ্রামের আদুরী বেগম আশা ও মো. মনিরুজ্জামান দম্পতির কোলজুড়ে এসেছিল একসঙ্গে চার সন্তান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শে আদুরীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১১ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি চার সন্তানের জন্ম দেন।