গত বছর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যুতে জাহাজের মাস্টারসহ তিনজনকে দায়ী করে অভিযোগপত্র নিয়ে বাদীর আপত্তি আছে কি না জানতে চেয়েছে আদালত।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালত (ঘ) অঞ্চলের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুর রহমান এ আদেশ দেন। এ সময় পরবর্তী শুনানির দিন ২৬ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার ১৪ আসামির মধ্যে ১১ জনকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনজনকে দায়ী করে দাখিল করা অভিযোগপত্রটি আদালত গ্রহণ করেনি। অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য পরবর্তী দিন হিসেবে বুধবার নির্ধারিত ছিল। তার আগে গত ৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালত (ঘ) অঞ্চলের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদিউজ্জামানের আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেছিলেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ ইউনুস মুন্সী।
অভিযোগপত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন কার্গো জাহাজটির মাস্টার ওহিদুজ্জামান, সুকানি আনোয়ার মল্লিক ও ইঞ্জিন ড্রাইভার মো. মজনু মোল্লা।
আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে কার্গো চালিয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কার্গোর গ্রিজার হৃদয় হাওলাদার, ফারহান মোল্লা, সুকানি নাজমুল মোল্লা, লস্কর রাজিবুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ, নুর ইসলাম, সাকিব সরদার, মো. আফসার, সাগর হোসেন, আলিফ শেখ ও বাবুর্চি আবুল বাসারকে।
কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ শেখ তন্ময়ের প্রতিষ্ঠান এসকে লজিস্টিকসের মালিকানাধীন।
মামলার বাদী বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবুল লাল বৈদ্য বলেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আদালতে এর জবাব দেব।
গত বছরের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জগামী এমএল সাবিত আল হাসান লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় এসকেএল-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজ। এ ঘটনায় ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দুদিন পর অজ্ঞাত জাহাজসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চালিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক বাবুল লাল বৈদ্য বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন। ৮ এপ্রিল দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় মেঘনা নদী থেকে এসকেএল-৩ লাইটারেজ জাহাজসহ ১৪ জন কর্মচারীকে আটক করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।