বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালতের হাজতখানা থেকে আসামি চম্পট

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২২ ২০:৫৮

কদমতলী থানার এএসআই শেখ জাহিদুর রহমান জানান, ৫ গ্রাম হেরোইনসহ সাইফুল ইসলাম নামে ওই আসামিকে গত ২১ মার্চ কদমতলী থানাধীন তুষারধারা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কদমতলী থানা পুলিশ সাইফুলকে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে বেলা সোয়া ১টা থেকে ২টার মধ্যে যেকোনো সময় পালিয়ে যান ওই আসামি।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে সাইফুল ইসলাম নামে মাদক মামলার আসামি পালিয়ে গেছে।

বুধবার সন্ধ্যায় আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন আদালতের এক কর্মকর্তা।

কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে মামলা করেছেন কদমতলী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শেখ জাহিদুর রহমান।

তিনি জানান, পাঁচ গ্রাম হেরোইনসহ সাইফুল ইসলাম নামে ওই আসামিকে গত ২১ মার্চ কদমতলী থানাধীন তুষারধারা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কদমতলী থানা পুলিশ সাইফুলকে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে বেলা সোয়া ১টা থেকে ২টার মধ্যে যেকোনো সময় পালিয়ে যান ওই আসামি।

বুধবার কোতোয়ালি থানা থেকে এ-সংক্রান্ত করা মামলার এজাহারটি আদালতে আসে। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকের আদালত এজাহার গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানার এসআই কিরন মিয়াকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার এসআই এস এম জহিরুল আলম বলেন, ‘সাইফুল ইসলামকে হেরোইনসহ আমরা গ্রেপ্তার করি। গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। কোর্টের হাতজখানা থেকে আসামি পালিয়েছে।

‘এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটা মামলাও করা হয়েছে। আর পালিয়ে যাওয়া সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পরিদর্শক নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা আসামিকে খোঁজাখুঁজি করেছি, কিন্তু পাওয়া যায়নি। থানা থেকেই আসামি পালিয়ে গেছে। আমাদের কাছে আসামি আসেনি। এর বেশি আমরা কিছু বলতে পারব না।’

তবে কদমতলী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে জানা গেছে, আসামিকে হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। ফিঙ্গার প্রিন্টও নেয়া হয়। পরে দেখা যায়, আসামি নেই। সে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাইফুলসহ থানার অন্য আসামিদের হাতকড়া পরিয়ে সরকারি প্রিজন ভ্যানে করে বেলা সোয়া ১টার দিকে সিএমএম কোর্টের হাজতখানায় আনা হয়। সেখানে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি আসামিদের হাতকড়া খুলে তাদের ফিঙ্গার প্রিন্টসহ ছবি তোলেন।

পরে আসামিদের বুঝিয়ে দেয়ার জন্য দ্বিতীয় তলার হাজতখানার সামনের করিডরে রাখা হয়। সেখানে থাকা অন্যান্য থানার আসামিদের সঙ্গে সাইফুল মিশে যায়। কদমতলী থানার আসামিদের জমা দেয়ার সময় সাইফুলকে না পেয়ে হাজতখানার কর্তব্যরত অফিসার ও ফোর্স আসামিকে খুঁজেও তার কোনো সন্ধান পাননি।

এ বিভাগের আরো খবর