লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিষ পান করে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসূল।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে মুশরত মদাতী ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। প্রাইভেট পড়তে গিয়েই ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগে উঠে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক গত ২ মার্চ দুপুর দুইটার দিকে ওই ছাত্রীকে সাজেশন দেয়ার কথা বলে তার বাড়িতে ডেকে নেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে একটি রুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।
পরে মেয়েটি বাড়ি ফিরে ঘটনা তার বাবা-মা ও সহপাঠীদের জানায়। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ছাত্রীর বাবা বিষয়টি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জানালে ক্ষিপ্ত হন অভিযুক্ত শিক্ষক।
এ নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা শুরু হলে গত ২০ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে হত্যার হুমকি দেন।
ওই দিনই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রী। পরে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার পরিবার। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ভোটমারী এস. সি দ্বী-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে তিনি বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন।
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ওসি গোলাম রসুল বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে গিয়ে কয়েকবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে তার খোঁজখবর নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’