বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুদি দোকানে রাসেলস ভাইপার

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২২ ১০:৫০

মুদি দোকানি লিটন বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস আগে অল্প সময়ের জন্য সাপটিকে একবার দোকানের ভেতর দেখেছিলাম। তারপর আর পাইনি। সোমবার আবার একে দোকানের ফ্রিজের পাশে দেখতে পাই। তখন পাশের দোকানের একজনকে ডেকে এনে দুজনে মিলে সাপটিকে ধরে প্লাস্টিকের জারে আটকে রাখি। পরে গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে পারি এটি ভয়ঙ্কর রাসেলস ভাইপার সাপ।’

মাদারীপুরের শিবচরে মুদি দোকানে পাওয়া গেছে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ। দোকানি সেটিকে দুদিন ধরে আটকে রেখেছেন প্লাস্টিকের জারে।

সাপটি নিয়ে যাওয়ার জন্য বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর নাগাদ সাপের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাটের অনন্যা মুদি স্টোরের মালিক লিটন মিয়া সোমবার দুপুরে তার দোকানে বিষধর এই সাপ পান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস আগে অল্প সময়ের জন্য সাপটিকে একবার দোকানের ভেতর দেখেছিলাম। তারপর আর পাইনি। সোমবার আবার একে দোকানের ফ্রিজের পাশে দেখতে পাই।

‘তখন পাশের দোকানের একজনকে ডেকে এনে দুজনে মিলে সাপটিকে ধরে প্লাস্টিকের জারে আটকে রাখি। পরে গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে পারি এটি ভয়ঙ্কর রাসেলস ভাইপার সাপ।’

লিটন আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা যেন যত দ্রুত সম্ভব সাপটি আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। সাপের কারণে আমি অনেক আতঙ্কে আছি।’

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার দুপুরে প্রথমে অজগরের বাচ্চা ভেবে পাশের দোকানিকে ডেকে এনে লিটন সাপটি ধরার চেষ্টা করেন। এটি শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল থাকায় তারা দুজন মিলে ধরে ফেলেন।

‘এটি যে আসলে বিষধর রাসেলস ভাইপার তা মঙ্গলবার রাতে জানাজানি হয়। আমরা বনবিভাগকে জানিয়েছি বিষয়টা।’

জেলা বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলা বন কর্মকর্তা সাপটি দেখে এসেছেন। বিষধর সাপ হওয়ায় ঢাকায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। বুধবার দুপুর নাগাদ ঢাকার টিম গিয়ে সাপটি নিয়ে আসবেন অথবা সাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

রাসেলস ভাইপার সম্পর্কে বাংলাদেশ বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপটি ‘চন্দ্রবোড়া’ বা ‘উলুবোড়া’ নামেও পরিচিত। এটি ইঁদুর, ব্যাঙ ও টিকটিকি খায়। বসতবাড়ির আশপাশে এসব বেশি থাকায় খাবারের খোঁজে রাসেলস ভাইপার অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে। মানুষ দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কখনও কখনও আক্রমণও করে বসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত পদ্মার চরাঞ্চল, নদী অববাহিকা ও বরেন্দ্র এলাকায় এই সাপের দেখা বেশি মেলে। দেখতে মোটা, লম্বায় ২ থেকে ৩ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সাপের গায়ে ছোপ ছোপ গোলাকার কালো দাগ থাকে। এটি সম্পর্কে যার ধারণা নেই তিনি অজগর ভেবেই ভুল করবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর