বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন জুনে

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ২৩:০৭

‘আমরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ভালো মানুষদের আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত করতে চাই। নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করতে চাই। যাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই, কেউ নাশকতা করেননি–তাদের আওয়ামী লীগে আনতে চাই। তবে কোনো আবর্জনা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেটি সাংগঠনিক দল দেখবে। চট্টগ্রামের নেতারা কোন অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দিবে না এটিই আমাদের আশাবাদ।’

১৫ বছর পর এসে আগামী জুনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার ঘোষণা এসেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে এ কথা জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৬ সালে।

এ সময় কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউশনে সকাল ও বিকেলে দুই দফায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালের সেশনে ১৫ টি সাংগঠনিক থানার কার্যক্রম ও অনিময়–অভিযোগ তদারকি করতে ১৫টি সাংগঠনিক দল গঠন করা হয়। পরে সভায় এই সাংগঠনিক দলের প্রধানদের নাম অনুমোদন করা হয়। বিকেলের সেশনে সাংগঠনিক দলের প্রধানদের নিয়ে বসেন কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্বপন বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী ও সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল তারা চারজন বসে ১৫ টি সাংগঠনিক টিমের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া নগরের কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকা বাকি ৬০ সদস্যকে চারজন করে ১৫টি দলে ভাগ করে দেয়া হবে।’

সাংগঠনিক দলের কাজ সম্পর্কেও ধারণা দেন তিনি। বলেন, ‘এই সাংগঠনিক দল সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ডের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক কিংবা আহ্বায়ক–যুগ্ম আহ্বায়কদের নিয়ে ইউনিট সম্মেলনে যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো পর্যালোচনা করবে।

‘কোনো অনিময় হলে তারা সেগুলো আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন। যদি তারা না পারেন তাহলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠাবেন। পরে আমরা আলোচনা করে সেগুলো সমাধান করব। সাংগঠনিক দলকে এক মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগে সমাজের ভালো মানুষদের সম্পৃক্ত করতে চান জানিয়ে স্বপন বলেন, ‘আমরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ভালো মানুষদের আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত করতে চাই। নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করতে চাই। যাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই, কেউ নাশকতা করেননি–তাদের আওয়ামী লীগে আনতে চাই। তবে কোনো আবর্জনা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেটি সাংগঠনিক দল দেখবে। চট্টগ্রামের নেতারা কোন অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দিবে না এটিই আমাদের আশাবাদ।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুনের আগে ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন হয়ে যাবে। একই দিনে একধিক ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর